-->

পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ স্কিম এর সুবিধা ও ভবিষ্যতের পথচলা। Karmasathi (Parijayee Shramik)

 Karmasathi (Parijayee Shramik) প্রকল্প: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণের একটি সফল প্রয়াস | Parijayee Shramik)

দেশের একটি জনবহুল রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি ও সমাজে পরিযায়ী শ্রমিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছেন। রাজ্যের সীমান্তাঞ্চল, দরিদ্র গ্রামাঞ্চল, কৃষিভিত্তিক এলাকা থেকে অনেকেই কাজ খুঁজতে গিয়ে অন্য রাজ্যে গিয়ে শ্রমজীবন শুরু করেন; কিন্তু বিদেশ নয়, ভারতের অন্যান্য রাজ্যেই নানা ধরনের সমস্যা ও ঝুঁকির মুখে পড়েন।



পরিস্থিতি যখন এমন হয়েছে যে রাজ্যের শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু, দুর্ঘটনা, স্বাস্থ্যঝুঁকি বা সামাজিক ও আইনগত সংকটের সম্মুখীন হচ্ছেন, তখন “Karmasathi (Parijayee Shramik)” নামে একটি প্রকল্প চালু করা হয়। এটি মূলত একটা কল্যাণমূলক সুরক্ষা জামাকাপড়—যেখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার, জরুরি সহায়তা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক-


নিচে Karmasathi প্রকল্পের বিস্তারিত বিশ্লেষণ দিচ্ছি।


KARMASATHI (Parijayee Shramik)
প্রকল্পের পটভূমি ও প্রয়োজনীয়তা

“Karmasathi” বা “Parijayee Shramik” প্রকল্পের প্রয়োজন হঠাৎ তৈরি হয়নি; পিছনে রয়েছে বহু বছরের বাস্তব সমস্যা ও অভাব।

প্রধান কারণগুলোর একটি সারসংক্ষেপ:

  1. দুর্ঘটনা ও মৃত্যু
    অনেক শ্রমিক কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছেন—নিরাপত্তার অভাব, কর্মপরিবেশ খারাপ, সময়মত স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যাচ্ছে না। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে পরিবারগুলোর একমাত্র উপার্জন বন্ধ হয়ে যায়।

  2. আর্থিক ঝুঁকি ও আয়ের অনিশ্চিতা
    কাজের ধরন মৌসুমভিত্তিক—নির্মাণ, সেবা খাত, হোটেল-রেস্তোরা—এই খাতে শ্রমিকরা অনেক সময় কর্মহীন হয়ে যান। অন্য রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে বাড়তি অর্থ ব্যয় ও ঝামেলায় পড়েন।

  3. স্বাস্থ্যসেবার অভাব
    কাজ দেশের বাইরে গেলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা অনেক সময় গ্যারান্টি থাকে না। মৃত্যুর পরে স্বাস্থ্য/দুর্ঘটনার প্রমাণ পেলে চিকিৎসক সার্টিফিকেট চলে, কিন্তু সেটি সঙ্কটময় বিষয়।

  4. পরিচয় ও নিয়মিত রেজিস্ট্রেশন বা তথ্যভিত্তিক সহায়তার অভাব
    শ্রমিকরা বিচ্ছিন্ন, অনেক সময় কাজের নথি নেই, কোথায় কাজ করছেন তা সরকার জানে না। ফলে সাহায্য পৌঁছানো কঠিন হয়।

  5. সামাজিক সুরক্ষা ও কল্যাণ পরিষেবার অভাব
    দুর্ঘটনা বা মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা খরচ, পরিবারের জন্য সহায়তা—এই ধরনের সুবিধা প্রায় নেই বা অপর্যাপ্ত।

  6. আর্থিক ও সাংস্কৃতিক চাপ
    পরিবার ও সন্তানদের দায়িত্ব, বাড়তি খরচ এবং কখনো কখনো ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক ভিন্নতার কারণে চেষ্টা করেও শ্রমিক নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে যায়।

এসব কারণ মিলিয়েই পশ্চিমবঙ্গ সরকার শ্রমিক কল্যাণ বোর্ড গঠন করে এবং Karmasathi প্রকল্প শুরু করে, যাতে পরিযায়ী শ্রমিকরা সরকারের নজরে আসে, রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সুবিধা পায় এবং ঝুঁকি অনেকখানি কম হয়।


প্রকল্প কি? সংজ্ঞা ও আইনগত কাঠামো

Karmasathi (Parijayee Shramik) প্রকল্প বলতে বোঝায় West Bengal Migrant Workers’ Welfare Scheme, 2023 — একটি সরকারী কল্যাণ প্রকল্প, যা “মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স” অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা, বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, অন্য রাজ্যে remunerated কাজ করছেন এমন শ্রমিকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। 

আইনগত ভিত্তি

  • West Bengal Migrant Workers’ Welfare Board গঠন করা হয়েছে ২০২৩ সালে। 
  • Notification No. LABR/124/(LC-LW/MW)/5M-2/2023 অনুযায়ী ১৬ মে ২০২৩- তারিখে “West Bengal Migrant Workers’ Welfare Scheme, 2023” ঘোষণা করা হয়। 
  • স্কিমটি রাজ্যের শ্রম দপ্তর ও শ্রম কমিশনারেটের অধীনে اجرا করা হচ্ছে। 

রেজিস্ট্রেশন ও বেনিফিশিয়ারি সংজ্ঞা

  • Beneficiary হবে শুধুমাত্র registered Migrant Worker। 
  • রেজিস্ট্রেশন অনলাইন / মোবাইল অ্যাপ পোর্টাল ও ‘Duare Sarkar’ ক্যাম্প/ BS-Kendra দিয়ে করা যাবে। 
  • রেজিস্ট্রেশন শেষে MWIN (Migrant Workers’ Identification Number) তৈরি হবে। 
  • বয়স সীমা: ১৮-৬০ বছর; পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা; অন্য রাজ্যে কাজ করছে। 

প্রচলিত কার্যক্রম ও সুবিধা

বিভিন্ন ধরণের সহায়তা দেওয়া হবে_registered শ্রমিকদের জন্য, যা রাখা হয়েছে নিম্নে:

ধরণ

সহায়তার পরিমাণ শর্তাবলী

সাধারণ মৃত্যু (normal death)

₹ 50,000 বেনিফিশিয়ারির নোমিনির জন্য

দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু (accidental death)

₹ 2,00,000

মৃতদেহ ফেরা (repatriation)

₹ 25,000 যদি দরকার হয় মৃতদেহ আনতে

শেষকৃত্য (last rites) খরচ

₹ 3,000

দুর্ঘটনাজনিত অক্ষমতা (Disability)

আংশিক / মাইনর (৪০-৮০%): ₹ 50,000; গুরুতর (৮০%-এর বেশি): ₹ 1,00,000

অন্য যেকোন জরুরী কল্যাণমূলক সহায়তা

Board-এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত হবে


স্কিল উন্নয়ন এবং প্রশিক্ষণ

  • Skill mappingtraining need নির্ধারণ করা হবে। 
  • সংশ্লিষ্ট এজেন্সি/প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে যেন শ্রমিকেরা আয়ের চাহিদার যোগ্য দক্ষতা অর্জন করতে পারে। 


প্রকল্পের বাস্তবায়ন

রেজিস্ট্রেশন ও তথ্য সংগ্রহ

  • রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছিল ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩-এ Duare Sarkar কর্মসূচির অংশ হিসেবে। 
  • ঘরে ঘরে প্রচার ও ‘door-to-door’ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যেখানে দূরত্ব বা সচেতনতার অভাবে শ্রমিকরা ক্যাম্পে আসতে পারছেন না। 
  • Bangla Sahayata Kendras (BSKs) এবং অন্যান্য ব্লক-স্তরের কেন্দ্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন কাজ চলেছে। 

সংখ্যা ও পরিসংখ্যান

  • প্রথম চার মাসে প্রায় ২০ লক্ষ (২ কোটি নয়, দুই লক্ষ × ১০⁵) শ্রমিক রেজিস্টার হয়েছেন Karmasathi-এ। 
  • ৯ মাসে সংখ্যা বেড়ে ২১.৫ লক্ষ শ্রমিক ছাড়িয়েছে। 
  • রেজিস্ট্রেশন অনেক বেশি হয়েছে নির্মাণ শ্রমিকদের মধ্যে, তার পর মিস্ত্রি (masons), গয়নার কাজ ইত্যাদিতে। 

প্রশাসনিক কাঠামো ও মনিটরিং

  • Labour Department, West Bengal প্রকল্পের প্রধান প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছে। 
  • All Assistant Labour Commissioners রেজিস্ট্রেশন যাচাই, দাবি গ্রহণ ও সুবিধাগুলো নিশ্চিত করার কাজ করছেন। 
  • সরকারি পোর্টাল ও মোবাইল অ্যাপ (Karmasathi – Parijayee Shramik) রয়েছে, যেখানে শ্রমিকরা রেজিস্ট্রেশন, তথ্য হালনাগাদ, সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারেন। 


প্রকল্পের সুবিধাসমূহ

Karmasathi প্রকল্পের মাধ্যমে শ্রমিক ও তাদের পরিবার পেতে পারে নিচের সুবিধাগুলো:

  1. আর্থিক সহায়তা দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে
    পরিবার যদি অভিভাবককে হারায়, তাহলে নির্ধারিত অর্থের ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে। এতে পরিবারের আর্থিক সংকট কিছুটা লাঘব হবে।

  2. দুর্ঘটনাজনিত অক্ষমতার ক্ষেত্রে সহায়তা
    কাজের কারণে যদি শারীরিকভাবে পঙ্গু হন, সে ক্ষেত্রে অল্প বা গুরুতর অক্ষমতার জন্য অর্থ পাওয়া যাবে।

  3. নিয়মিত ও নিবন্ধিত তথ্যভিত্তিক সহায়তা
    রেজিস্ট্রেশনঃ শ্রমিক কোথায় কাজ করছেন, কী কাজ করছেন, নমিনী কে — এসব তথ্য থাকলে প্রয়োজনে ত্রাণ, সহায়তা বা আইনগত সহায়তা দেওয়া সহজ হবে।

  4. স্কিল উন্নয়ন ও পুনর্বাসন
    দক্ষতা বাড়িয়ে শ্রমিকেরা কাজের বাজারে উন্নত জায়গায় যেতে পারবে, এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

  5. স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গ্যারান্টি
    প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলে দুর্ঘটনা বা কাজের সময় আহত হওয়া হলে কমপক্ষে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পাবার সম্ভাবনা বাড়বে।

  6. সামাজিক স্বীকৃতি ও মানসিক সুরক্ষা
    রেজিস্ট্রেশন এবং সরকারি স্বীকৃতি পাওয়া মানে অনুভব করা যাবে যে শ্রমিকও নাগরিক অধিকার পায়, ভুলভাবে লোপাট করা হবে না।


চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা

যে কোনো প্রকল্প যেখানে মানুষ, প্রশাসন ও আইন কাজ করছে, সেখানেই কিছু বাধা থাকবে। Karmasathi-র ক্ষেত্রেও রয়েছে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ:

  1. সচেতনতার অভাব
    অনেক শ্রমিক জানে না বা বোঝে না এই প্রকল্প আছে, রেজিস্ট্রেশন কিভাবে হবে, কী কোন সুবিধা পাওয়া যাবে। জনসচেতনতা কম থাকলে প্রকল্প পুরোপুরি কার্যকর হবে না।

  2. প্রশাসনিক জটিলতা ও বিলম্ব
    ধরা যায় রেজিস্ট্রেশন যাচাই, দাবির প্রক্রিয়া, ডিসএবিলিটি সার্টিফিকেট পাওয়া — এসব ক্ষেত্রে সময় লাগে এবং প্রক্রিয়াগত কাগজপত্রের অভাব থাকলে সমস্যা হয়।

  3. দূরত্ব ও যোগাযোগ সেবা সংক্রান্ত বাধা
    শ্রমিকরা অনেক সময় কাজের জায়গায় বা অন্য রাজ্যে থাকেন, যেখানে ইন্টারনেট না-বা কম আছে, মোবাইল ফোন যোগাযোগ সীমিত, তাই পোর্টাল ও অ্যাপ ব্যবহার করা কঠিন হয়।

  4. স্বচ্ছতা ও রিসোর্স আসল জায়গায় পৌঁছানো
    কখনো কখনো অভিযোগ আসে যে সহায়তা নগদ রাশি না পেয়ে পারে বিলম্ব হচ্ছে বা দালাল বা মধ্যস্থতার কারণে কিছু-কিছু সুবিধা পৌঁছায় না।

  5. অর্থায়ন ও বাজেট সংক্রান্ত উদ্বেগ
    জনসংখ্যা বেশি হলে অনেকেই দাবি করতে পারবে, বাজেট কতক্ষণ টানবে, কতক্ষণ ধরে প্রকল্প চলবে — এই দিক থেকে রাজ্যের আর্থিক সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ।

  6. বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করছেন এমন শ্রমিকদের ליהোগ্যতার বিষয়াদি
    কাজ অন্য রাজ্যে করলে কি সেই রাজ্যের আইন অনুযায়ী কর্মপরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা থাকবে, তার পরিমাপ করা যাবে কি না, শ্রমিক যদি বন্দি হয় বা আইনি সমস্যা হয় — এসব ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সহায়তা কতটা কার্যকর হবে তা সময় বলবে।


প্রকল্প ও অন্যান্য স্কিমের সঙ্গে যোগাযোগ

Karmasathi প্রকল্প অনেক অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রের স্কিম এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য কর্মসূচীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে:

  • Shramashree: Returning migrant workers-কে সহায়তা করার একটি প্রকল্প; যারা বাইরে কাজ করছিল এবং ফিরে আসতে চান, তারা Karmasathi পোর্টালের রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সুবিধা নিতে পারবে। 
  • Swasthya Sathi: স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্ড, যাতে স্বাস্থ্য-সেবা পাওয়া যায় রাজ্য ও বাইরে কাজের জায়গায়। 
  • Khadya Sathi: খাদ্য সাপোর্ট/রেশন সুবিধা; যদি রেশন কার্ড বা খাদ্য-সহায়তার প্রয়োজন হয়।
  • Utkarsha Bangla: দক্ষতা উন্নয়নের স্কিম; শ্রমিকদের দক্ষতা যাচাই ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। 

প্রকল্পের প্রভাব ও সফলতা

মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে প্রকল্প কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাচ্ছে:

  • রেজিস্ট্রেশন সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে; ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়ার পর কয়েক মাসে ২০ লক্ষের বেশি শ্রমিক রেকর্ড হয়েছেন। 
  • শ্রমিকদের মৃত্যুর বা দুর্ঘটনা বা অক্ষমতার ক্ষেত্রে পরিবারের অর্থনৈতিক উপকার নিশ্চিত হচ্ছে।
  • যারা বাইরে-রাজ্যে কাজ করছেন এবং হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তাদের জন্য এখন রিটার্ন ও পুনর্বাসন ব্যবস্থার একটা অভ্যন্তরীণ ভরসা তৈরি হচ্ছে; সরকার-পক্ষ থেকে সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে।
  • স্বাস্থ্য ও খাদ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের অন্যান্য প্রকল্পের সংযোজন প্রকল্পকে আরও শক্তিশালী করেছে।


ভবিষ্যতের সম্ভাবনা ও সুপারিশ

Karmasathi প্রকল্প যদি আরও টেকসই ও সকল শ্রমিকের কাছে পৌঁছনোর মতো হয়, হলে কিছু সুপারিশ এখানে:

  1. সচেতনতা বৃদ্ধि ও প্রচারকরণ
    কর্মশিল্প, পাড়াপড়শি, বাসস্থান এলাকা, মিটিং‐পট্টি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রচার শিবির।
    টেলিভিশন, রেডিও, সোশ্যাল মিডিয়া, স্থানীয় ভাষায় তথ্য দেওয়া।

  2. প্রক্রিয়াগত সরলিকরণ
    রেজিস্ট্রেশন, দাবির প্রমাণ, অক্ষমতা সার্টিফিকেট পাওয়ার প্রক্রিয়া স্বল্প কাগজপত্রে ও দ্রুত করা।

  3. বিভিন্ন রাজ্যে কর্মরত শ্রমিকদের ক্ষেত্রে সহযোগিতা চুক্তি
    স্বাস্থ্যসেবা দাতাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বা রাজ্যগত নেটওয়ার্ক তৈরি করা, যেন তারা বিদেশে বা অন্য রাজ্যে থাকলেও সেবা পায়।

  4. নিয়মিত মনিটরিং ও স্বচ্ছতা
    হেল্পলাইন, দূতাবাস, ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব, অভিযোগ নিবারণ ব্যবস্থার উন্নয়ন।

  5. বাজেট ও অর্থায়নের নিশ্চয়তা
    রাজ্য বাজেট এবং কেন্দ্র অথবা আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদী টেকসই অর্থায়ন নিশ্চিত করা।

  6. বিভিন্ন ধরন ও সামাজিক শ্রেণীর শ্রমিকদের জন্য ভিন্ন মনোযোগ
    বিশেষ করে মহিলা শ্রমিক, শিশু শ্রমিক, ভ্রমণকারীর ইমার্জেন্সি অবস্থা, ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুরক্ষা ও সহায়তা দেওয়া।

Karmasathi (Parijayee Shramik) প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ও সময়োপযোগী উদ্যোগ। এটি শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি তাদের পরিবারকে নিরাপত্তা দেয়, আর্থিক ঝুঁকি কমায় এবং সামাজিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করে।

প্রকল্পটি যতই ভাল হোক না কেন, তার পূর্ণ সফলতার জন্য দরকার সঠিক বাস্তবায়ন, জনসাধারণের সচেতনতা, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও বাজেটের যথেষ্ট সাপ্লাই। যদি এসব দিক গুছিয়ে নেওয়া যায়, তাহলে Karmasathi প্রকল্প শুধু একটি কল্যাণমূলক উদ্যোগ থাকবেনা, বরং কাজের বাজারে, শ্রম সুরক্ষায় ও সামাজিক ন্যায়ের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক হবে।

Karmasathi (Parijayee Shramik) প্রকল্প নিয়ে সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQ)

1. Karmasathi (Parijayee Shramik) প্রকল্প কী?

এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শ্রম দপ্তরের একটি কল্যাণমূলক স্কিম, যেখানে রাজ্যের বাইরে কাজ করা পরিযায়ী শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা, দুর্ঘটনা সুরক্ষা ও পুনর্বাসন সুবিধা দেওয়া হয়।

2. কে এই প্রকল্পে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন?

যে কোনো পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা, বয়স ১৮–৬০ বছরের মধ্যে, এবং অন্য রাজ্যে কাজ করছেন এমন শ্রমিক এই প্রকল্পের যোগ্য।

3. রেজিস্ট্রেশন কোথায় করা যাবে?

অনলাইনে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ, অথবা Duare Sarkar ক্যাম্প ও Bangla Sahayata Kendra (BSK) থেকে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

4. দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে কত টাকা সহায়তা পাওয়া যায়?

Accidental death হলে পরিবারকে ₹২ লক্ষ, আর সাধারণ মৃত্যু হলে ₹৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

5. অক্ষম হলে শ্রমিক কত টাকা পাবেন?

  • ৪০–৮০% অক্ষমতা: ₹৫০,০০০
  • ৮০%-এর বেশি হলে: ₹১,০০,০০০

6. মৃতদেহ ফেরানো বা শেষকৃত্যের জন্য কী সুবিধা আছে?

মৃতদেহ ফেরাতে ₹২৫,০০০ এবং শেষকৃত্যের জন্য ₹৩,০০০ টাকা দেওয়া হয়।

7. এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর কী কী সুবিধা পাওয়া যায়?

স্কিল উন্নয়ন, পুনর্বাসন, স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং Swasthya Sathi কার্ডের সুবিধা।

Karmasathi Parijayee Shramik প্রকল্প,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিযায়ী শ্রমিক স্কিম, West Bengal migrant workers scheme, কর্মসাথী প্রকল্প রেজিস্ট্রেশন, পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ স্কিম পশ্চিমবঙ্গ, WB migrant workers registration 2023


You May Like Also Also Like This

Post a Comment

0 Comments